পরিদর্শনের অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেনের (চলতি দায়িত্ব) বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে নিম্নমানের কাজ এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার গ্রামীণ সড়ক মেরামত/ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ নিম্নমানের ও গুণগত না হওয়ায় সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন (প্রেষণে) অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রকল্প, এলজিইডি, সদর দপ্তর, এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে প্রকৌশলী টিম।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের অনুমোদন পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন এবং সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
একই সাথে কাজের যথাযথ মনিটরিং না করায় মুন্সিগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন (চলতি দায়িত্ব) তার সাবেক কর্মস্থল পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন, কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ স্পেসিফিকেশন মোতাবেক বাস্তবায়ন করেননি। বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বিধায় ভবনটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করা প্রয়োজন হবে।
ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ কাজ করা সত্ত্বেও উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন ঠিকাদারের সাথে পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারকে চূড়ান্ত বিল প্রদান করেছেন এবং ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় এলজিইডি তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং সরকারের অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয় মর্মে মো. সুলতান হোসেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার গ্রামীণ সড়ক মেরামত/ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে গুণগতমান নিশ্চিত এবং স্পেসিফিকেশন (কার্পেটিং এর থিকনেস, মাটির কাজ ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী না করা, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এং প্রটেক্টিভ ওয়ার্ক এর লোকেশন লেভেল ঠিক না থাকা ইত্যাদি) মোতাবেক কাজ না হওয়ায় সহকারী প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করতে বলা হয়েছে।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্কিমসমূহের কাজ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না হওয়ায় এলজিইডি তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াসহ সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি এবং ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।